সবেমাত্র তফশীল ঘোষণা হয়েছে। ইলেকশন ১৫জুন। সবার প্রচার প্রচারণা শুধুই সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ছবি প্রচারেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু ভিপি শফিক উদ্দিন। প্রায় তিন মাস আগ থেকেই ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। আর ঘোষণাতেই যেন মাত করছেন আলোচিত ভিপি শফিক। নানামুখি প্রচারণা আর মানবিক কাজে হয়ে উঠছেন আলোচনার কেন্দও বিন্দু। অনেকে বলছেন -তবে কী শফিক উদ্দিনই এবার উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন।
হ্যা ,শফিক উদ্দিনের কথা বলছি। ভিপি শফিক। ৯৮সালে উপজেলা তথা সিলেট জুড়েই নির্যাতিত এক নাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন, তিনি আবারও আলোচনায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ক’দিন থেকে বিভিন্ন ছবি প্রচার হচ্ছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে। এসব ছবিতে প্রায় ৮জনের নাম ছবি থাকলেও শফিক উদ্দিনেরটা নেই। এটিকে অনেকে ভালো চোঁখে দেখছেন না। নেতিবাচক, তীর্যক মন্তব্য করছেন বেশীর ভাগ মানুষ। কারণ শফিক উদ্দিন উপজেলা নির্বাচন গতবারও করতে চেয়েছিলেন। আর এবার আগে বাগেই ঘোষণা দিয়েই মাঠে নেমেছেন। অতীতে বিভিন্ন দুর্যোগ দু:সময়ে মানুষের পাশে ছিলেন। এবার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রচারণায় নামেন শুরুতেই। এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর শফিক উদ্দিনই একমাত্র প্রার্থী যিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সরাসরি ঘোষণা দিয়ে মাঠেন। উপজেলার গণ সংযোগ করেন উপজেলার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে। ইকবাল চৌধুরী,মাওলানা রশীদ আহমদ,আব্দুল জব্বার আর সিরাজ উদ্দিনদের কবর জিয়ারত করে সাধারণ মানুষের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ওমরাহ যান। সেখানেও প্রবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠটান করেছেন। আমেরিকায়ও কমিউনিটির একাধিক সভায় তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতিা ঘোষণা করায় অভিনন্দিত করা হয়। তাকে সমর্থনের জন্য সেখানে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে একটি কমিটিও গঠন করা হয় । গত ক’দিনের বিরতির পর আবার নেমেছেন তৎপরতায়। গতকাল তার পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইফতার মামগ্রী বিরতণ করা হয়েছে। যার ফলে প্রচারণায় সবার থেকে এগিয়ে আছেন শফিক উদ্দিন। আর এটি আগামী নির্বাচনে তার জন্য অনেকটা নিয়ামক হতে পারে। অতীতের মতো আবারও হয়ে উঠতে পারেন জনতার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। দলমত নির্বশেষে সাধারণ মানুষ তাকেই বেছে নিতে পারে একজন স্পষ্টভাষী ,সৎ সাহসী মানুষ হিসেবে।